Welcome to My Blog "Amader Ojana. Amader Ojana is a YouTube Channel. You can visit my all sites : Blog, YouTube Channel, Facebook Page, Twitter, Instagram."

বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস আগামীকাল মঙ্গলবার মর্ত্য থেকে মহাকাশে যাবেন | Amader Ojana

বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস আগামীকাল মঙ্গলবার মর্ত্য থেকে মহাকাশে যাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বেজোস নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের একটি নতুন শেপার্ড রকেটে চড়ে মহাকাশে উড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাস থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় মহাকাশের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে রকেটটি। এই ফ্লাইটে তথা উড্ডয়নে মোট সময় নেবে ১১ মিনিট।



যুক্তরাজ্যের লেখক, বহুজাতিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের ৫৭৯তম ধনী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনের ১০ দিন পর বেজোস মহাকাশে যাচ্ছেন। তিনিই বিশ্বে প্রথমবারের মতো নিজস্ব মহাশূন্যযান ভার্জিন গ্যালাকটিক প্লেনে চড়ে ১০ জুলাই মহাশূন্যে যান।

মানুষের চন্দ্র জয়ের ৫২তম বার্ষিকীতে জেফ বেজোস মহাকাশে যাচ্ছেন। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানে চড়ে চন্দ্রাভিযানে অংশ নেন নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বাজ অলড্রিন। তখন বেজোস ছিলেন মাত্র পাঁচ বছরের এক শিশু।

মহাকাশ অভিযানে বেজোসের সঙ্গে থাকবেন তাঁর ছোট ভাই মার্ক এবং বিশ্বের প্রথম দিককার বিমানচালক ৮২ বছরের ম্যারি ওয়ালেচ (ওয়্যালি ফাঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত) এবং একটি প্রাইভেট ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওর ১৮ বছরের ছেলে ওলিভার ড্যামেন। 

এ ছাড়া রয়েছেন এই অভিযাত্রার টিকিটের ওপর আয়োজিত নিলামে ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার হাঁকিয়ে রানারআপ হওয়া ব্যক্তিদের একজন। নিলামে বিজয়ী ব্যক্তি পরে কোনো সময় মহাকাশে যাবেন। আপাতত তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই অভিযাত্রার একটি বিশেষত্ব হলো, এতে রয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি (বেজোস), সবচেয়ে কম বয়সী অভিযাত্রী (ড্যামেন) ও সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ (ফাঙ্ক)।

এই অভিযাত্রা সম্পর্কে বেজোস ইনস্টাগামে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি সারা জীবন মহাকাশে এভাবে উড়তে চেয়েছি। এটি একটি দুঃসাহসিক কাজ এবং আমার জন্য অনেক বড় কিছু।’

সারা দুনিয়া যখন করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিশ্বের এই দুজন অতিধনী শত শত কোটি ডলার ব্যয় করে মহাকাশে যাওয়ার শখ পূরণ করছেন। এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কও মহাকাশ পর্যটন তথা ভ্রমণ আয়োজনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাঁর কোম্পানির নাম স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস করপোরেশন, যা স্পেস এক্স নামেই সমধিক পরিচিত। বেজোস ও ব্র্যানসনের চেয়েও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন মাস্ক। তিনি মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে চান।

মহাকাশযাত্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৩ দশমিক ৫ মাইল ওপরে উঠেছিল রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিকের রকেট। তবে জেফ বেজোসকে নিয়ে ১০০ কিলোমিটার বা ৬২ মাইল ওপরে উড়বে ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড রকেট। বেজোসের রকেট ভার্টিক্যালি বা উল্লম্বভাবে মহাকাশ পানে ছুটে যাবে। অন্যদিকে ব্র্যানসনের রকেট সাধারণ বিমানের মতো সমান্তরাল অবস্থায় শূন্যে ওড়ে যায়।

এদিকে মহাকাশের উদ্দেশে ওড়ার পর বেজোসকে আর পৃথিবীতে ফিরতে না দেওয়ার দাবিতে এক লাখ মানুষ একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

রহস্যময়ী গুহা | Amader Ojana

রহস্যময়ী গুহাঃ

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়? কেমনইবা শেষ প্রান্তের দৃশ্য। ভাবতে ভাবতে বিজ্ঞানীরা পেয়েছেনে এমন এক রহস্যময় গুহার ঠিকানা। যার অবস্থান রাশিয়ায়। স্থানীয়রা একে ‘পৃথিবীর শেষপ্রান্ত’ (End of the world) বলে অভিহিত করেছেন। এটি রাশিয়ার সর্ব উত্তর, প্রত্যন্ত ও বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। গুহাটি প্রায় ২৬০ ফুট প্রশস্ত। এ গুহার উদ্ভবের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি বিশেষজ্ঞরা।


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রহস্যময় গুহাটির ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে। ভিডিও ধারক জানান, মাটির গভীর অন্ধকার থেকে গুহাটির সৃষ্টি হতে পারে এবং এর ঊর্ধ্বমুখে অতি তাপমাত্রা বিদ্যমান। সকল ঋতুতেই এখানে থাকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। শীতকালে সূর্য উঠলেও তাতে থাকে শীতের আবহ। বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়াভিত্তিক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব দ্য আর্কটিক ও রাশিয়ার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের দুই গবেষক জানিয়েছেন, তারা ওই এলাকার মাটি ও পানি সংগ্রহ করবেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। উল্লেখ্য, রাশিয়ার এ অঞ্চলটি অত্যন্ত গ্যাসসমৃদ্ধ। অনুমান করা হচ্ছে, মাটির অভ্যন্তরে বিস্ফোরণের ফলে এই রহস্যময় গুহার সৃষ্ট…


ফুটন্ত কাদা ( নিউজিল্যান্ড) | Amader Ojana | amaderojana.blogspot.com

ফুটন্ত কাদা ( নিউজিল্যান্ড)

নিউজিল্যান্ডের রোটোরোয়ায় অবস্থিত TAUPO লেকে ফুটন্ত কাদা-মাটিফুটন্ত কাদা ( নিউজিল্যান্ড):

নিউজিল্যান্ডের রোটোরোয়ায় অবস্থিত TAUPO লেকে ফুটন্ত কাদা-মাটি দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকদের ধারনা,নদী ও লেকের পানি নির্দিষ্ট এই জায়গায় উত্তপ্ত পাথরের উপরে প্রবাহিত হয় বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।এটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে দাড়িঁয়েছে।

Amader Ojana
#Amader_Ojana

Connect with us
YouTube: https://youtube.com/channel/UCN9MS8dKvlLvm8SkBuC_Sag
Facebook: www.facebook.com/amaderojana
Instagram: www.Instagram.com/Amader_Ojana


কম্পিউটারের ইতিহাস | History of Computer | History Series | amaderojana.blogspot.com | Amader Ojana

কম্পিউটারের ইতিহাস :

প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গণনা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।

১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি অথবা দন্ড ব্যবহার করেন। এসব দন্ড জন নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত। ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। ১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা দন্ড ব্যবহার করে গুণ ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine) পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের পরিমার্জন করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।


 

উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে আরও উন্নত সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারণা লাভ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্র অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই তিনি শেষ করতে পারেননি।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC) সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। তখন থেকে কম্পিউটারের আকৃতি কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি। আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কমপ্যাটিবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একই সময় আই.বি.এম কোম্পানির পাশাপাশি অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেট (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। কিন্তু অ্যাপল কোম্পানি তাদের কমপ্যাটিবল কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে কোনোরূপ উদারতা প্রদর্শন না করায় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য থেকে যায় অত্যধিক বেশি, যার ফলে অ্যাপল তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি। তবে বিশেষ ধরনের কিছু ব্যবহারিক সুবিধার কারণে মূলত মুদ্রণ শিল্পে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো।